মেকআপ ছাড়া প্রায় শতাব্দি পুরোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে রেকর্ড গড়েছেন মেলিসা রউফ। আগামী অক্টোবরে ‘মিস ইংল্যান্ড’ খেতাব লড়ার জন্য মঞ্চে উঠবেন তিনি। সেখানেও মেলিসাকে মেকআপ ছাড়া দেখা যাবে।
২০ বছর বয়সী এ তরুণী গত সোমবার নিজের ‘বেয়ারফেস লুক’ নিয়ে সেমিফাইনাল টপকে যান। এর আগে কেউ মেকআপ ছাড়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি বলে জানান আয়োজকরা।
এক সাক্ষাৎকারে মেলিসা বলেন, এটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা চাপ অনুভব করে বলেই মেকআপের আশ্রয় নেয়।
কেউ যদি নিজের ত্বক নিয়ে খুশি থাকে, তবে মেকআপ দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত নয়। আমাদের ত্রুটিগুলোই আমাদের পরিচয় ও এটি আমাদের অনন্য করে তোলে বলে তার মত।
মেলিসা জানান, অল্প বয়সে মেকআপ নেয়া শুরু করলেও প্রতিযোগিতায় পা রাখার সময় সে অভ্যাস ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
গত মে মাসে মেলিসা প্রতিযোগিতার মেকআপহীন ‘বেয়ারফেস’ রাউন্ড থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি সেলফি পোস্ট করেন, লিখেছিলেন ‘দাগ ও অপূর্ণতাকে আলিঙ্গন করছেন’।
মিস ইংল্যান্ডের পরিচালক অ্যাঞ্জি বিসলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ২০১৯ সালে বেয়ার ফেস টপ মডেল রাউন্ড চালু করি। বেশিরভাগ প্রতিযোগী প্রচুর মেকআপ পরে অতিসম্পাদিত ছবি জমা দিচ্ছিল, আমরা মেকআপের পেছনে আসল ব্যক্তিকে দেখতে চেয়েছিলাম। মেলিসার মাধ্যমে ৯৪ বছরের ইতিহাসে মিস ইংল্যান্ডের মঞ্চ পুরোপুরি মেকআপ ছাড়া কোনো প্রতিযোগী পেল।
মেলিসার মেকআপহীন অংশগ্রহণ তরুণদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেবে বলেও মনে করেন এ আয়োজক।