পাকিস্তানকে হারিয়ে ষষ্ঠ এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে শ্রীলঙ্কা। অথচ দাশুন শানাকার দলকে ধরার মধ্যেই রাখেনি অনেকে। ফাইনালেও মোমেন্টাম পক্ষে ছিল না। টস হার, ব্যাটিং বিপর্যয় সামলেই দুর্দান্ত জয় পেয়েছে তারা।
ফাইনাল ফেবারিট ছিল পাকিস্তান। তারাই ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে অলআউট হয়েছে ১৪৭ রানে। এই হারে বড় দায় পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক ও লেগ স্পিন অলরাউন্ডার শাদাব খানের। ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলা ভানুকা রাজাপাকসের দুটি ক্যাচ ফেলেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ক্যাচ মিস-বাজে ফিল্ডিংকে দায়ী করেছেন। স্বীকার করেছেন, ফাইনালে তারা অনেক ভুল করেছেন। ফাইনালে ভুলের মাত্রা কম হওয়া উচিত ছিল, ‘ফাইনালে ভুল যত কম হবে ততই ভালো। ভালো ফিল্ডিং হয়নি, ১৫-২০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম। ভুল কম হলে ভালো হতো।’
ম্যাচ শেষে টুইট বার্তায় হারের দায়ও মেনে নিয়েছেন শাদাব খান, ‘ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। আমি দুঃখিত। এই হারের দায় আমার। আমিই আমার দলকে পিছিয়ে দিয়েছে। দলের জন্য নাসিম, হারিস, নওয়াজ বড় পাওনা। রিজওয়ান ভাই বেশ লড়েছে। দল জয়ের খুবই চেষ্টা করেছে। শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন।’
দায় শাদাব মেনে নিলেও খোঁজা হচ্ছে অন্য দোষী। যেমন কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম হারের দায় চাপিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপর। চাপের মুখে তিনি ৪৯ বলে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তার ওই ইনিংস দলের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল। তারপরও ধীর ব্যাটিংয়ের জন্য তাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ওয়াসিম, ‘হংকং-এর বিপক্ষে এইকভাবে খেলেছিল রিজওয়ান। আমি যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করায় ভক্তরা আমাকেই পাল্টা দিয়েছিল। আমি নাকি রিজওয়ানকে পছন্দ করি না।’
টি-২০ ফরম্যাটে অ্যাংকরিং রোল প্লে করার কোন মানে হয় না বলেও সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারের সঙ্গে একমত হয়েছেন ওয়াসিম। ওদিকে পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি শোয়েব মালিক দলে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন। টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা কবে বন্ধুত্ব, পছন্দ-অপছন্দের সংস্কৃতি থেকে বেরোতে পারবো! আল্লাহ সবসময় সততার পক্ষে।’ তার ওই টুইটের পরই কামরান আকমলের মন্তব্য, ‘গুরুজি, এতো সৎ হবেন না (জিভে কামল দিয়ে হাসির ইমোজি)।’
পাকিস্তানের কোচ সাকলায়েন মুসতাক অবশ্য সমালোচনায় বৃষ্টিতে ভেজা শিষ্যদের মাথায় ছাতা ধরেছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং এপ্রোচ ভুল ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন। বাবর আজম কপাল দোষে আউট হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। পুরো আসরে রান না পাওয়া ফখর জামানের ওপর আস্থা-বিশ্বাস রাখার কথা বলেছেন। কৃতিত্ব দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে। বিশেষ করে ভানুকা রাজাপাকসেকে। সাকলায়েনের মতে, শ্রীলঙ্কা ৩১ ওভার ভালো খেলেছে। আর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করেছে মাত্র ৯ ওভার।