বৈরি আবহাওয়ায় বৃষ্টিবাদল থাকলেও কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি তপন সরকার। তিনি বলেছেন, কাল যথারীতি পরীক্ষা শুরু করা যাবে।
পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তপন সরকার আজ বুধবার বলেন, বৃষ্টিবাদলে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তাঁরা কেন্দ্র সচিবদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কেন্দ্রের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আশা করা যাচ্ছে, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতেও কোনো সমস্যা হবে না। পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
এ পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবসহ যেকোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
অন্যবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও এবার যানজটের কথা বিবেচনা করে বেলা ১১টায় এই পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্র ঢুকতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এরপরও ঢুকতে দিতে হলে তার নাম, রোল নম্বর, দেরির কারণ ইত্যাদি একটি নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। আর কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।
সাধারণত, এসএসসি পরীক্ষা হয় বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে আড়াই বছর ধরে এলোমেলোভাবে চলছে শিক্ষাপঞ্জি। কখনো পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, কখনোবা পিছিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বন্যার কারণে এ পরীক্ষা আরও পিছিয়ে যায়। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত জুন মাসে। কিন্তু ওই সময় সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভয়াবহ বন্যার কারণে পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়েছিল। পরে আবার পরিকল্পনা করা হয়েছিল গত ১৭ আগস্ট থেকে এই পরীক্ষা শুরুর। কিন্তু মধ্য আগস্টে বন্যার আশঙ্কায় তা–ও পিছিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী কাল থেকে শুরু হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই পাবলিক পরীক্ষা।
পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হচ্ছে এবারের পরীক্ষা। এ জন্য পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা থেকে কমিয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়েছে।