প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৭৫০ শয্যার উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিএসএমএমইউ’তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এ হাসপাতালে বিশেষায়িত সেবার পৃথক পাঁচটি কেন্দ্র থাকবে—জরুরি চিকিৎসাকেন্দ্র, হৃদ্রোগ ও স্নায়ুরোগ সেবাকেন্দ্র, হেপাটোবিলিয়ারি ও যকৃৎ প্রতিস্থাপনকেন্দ্র, কিডনি রোগকেন্দ্র এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ ছাড়া থাকবে ১০০ শয্যার আইসিইউ শয্যা ও জরুরি চিকিৎসার ১০০ শয্যা।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ৩৩০ কোটি টাকা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুধু উন্নত চিকিৎসার আয়োজন করছি, তা নয়। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য জনবল তৈরিরও উদ্যোগ নিয়েছি। একটি লম্বা সময় ধরে কোরিয়ার ৫৬ জন বিশেষজ্ঞ সার্জন এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণও দেবেন।’
ফার্মেসি ছাড়াও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার দোকান ও ব্যাংকিং সুবিধা হাসপাতালের মধ্যে থাকছে। চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ক্যাফেটেরিয়া ছাড়াও থাকবে তিনটি ক্যাফেটেরিয়া। থাকবে লন্ড্রি হাউস এবং প্রায় ২৫০টি গাড়ি রাখার পার্কিং সুবিধা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগী ভর্তি, রোগীর তথ্য সংরক্ষণ, চিকিৎসা এবং সার্বিকভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তায় তথ্য–প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।