হিমালয়চূড়ায় ইতিহাস লিখেছেন বাংলার মেয়েরা। দেশের মানুষকে দেওয়া কথা রেখেছে তারা। অধরা সাফের শিরোপা জিতে স্বপ্নপূরণ করেছেন সবিনা-সানজিদারা। এবার তাদের একটি ছোট্ট স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পালা। বুধবার দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসেই বিমানবন্দর থেকে চ্যাম্পিয়ন যাত্রা করবে বাংলাদেশ নারী দল।
তবে দেশকে এতোবড় সম্মান এনে দেওয়ার পরও একটা আক্ষেপ তো রয়েই গেছে বাংলার সাহসিকাদের। সেই আক্ষেপের কথা জানা গিয়েছিলো ফাইনালের আগে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার সানজিদা আখতারের ফেসবুক পোস্টেই.
সানজিদা লিখেছিলেন, ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরো নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’\
ইতিহাস গড়ে সাফের শিরোপা জয়ের পর বাংলাদশের কোটি সমর্থকেরও দাবি, চ্যাম্পিয়নদের যেন ছাদখোলা বাসেই বরণ করা হয়।
এবার, বাফুফে আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলার বাঘিনীদের সেই ছাদখোলা বাসেই অভ্যর্থনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিক সাফজয়ী নারীদের বরণ করতে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাদখোলা গাড়ি সাজানোর কাজ চলছে বিআরটিসির কমলাপুর ডিপোতে।
নেপাল থেকে সাবিনারা দেশে ফিরবে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। নেপাল থেকে দুপুরে সোয়া ১২টার ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে তাদের।
সাফজয়ী নারীদের বরণ করতে এছাড়াও আর কী কী ব্যবস্তাহ গ্রহণ করা হবে সেটি নিয়ে আজ দুপুরে বাফুফের সঙ্গে বৈঠক করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রোণালয়। তারপরেই জানা যাবে বিস্তারিত।
দেশের হয়ে ইতিহাস লেখা নারীদের ছোট্ট ইচ্ছা অপূর্ণ রাখতে চান না বলেই ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, আপনারা দেখেছেন যে সানজিদা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তারা বিজয়ী হলে হয়তো ছাদখোলা কোনো বাসে তাদের ট্রফি নিয়ে আসা হবে না। তার সে আক্ষেপ দেখে আমাদের অন্তরে ব্যথা লেগেছে। আমাদের দেশে যদিও ছাদখোলা কোনো বাস নেই ঢাকায়। তারপরও আমরা তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছি। তাদেরকে ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা আমরা দেব। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত তাদের আমরা নিয়ে যাব। তাদের মনের আশা পূরণ করব।