অপেক্ষার প্রহর ফুরোলো। দেশের মাটিতে পা রেখেছে ইতিহাস গড়ে সাফের শিরোপা জেতা সাবিনা-সানজিদারা। দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাফজয়ী দলকে বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি।
আজ দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কাঠমুন্ডু থেকে দেশের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় সানজিদাদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৩৭২ ফ্লাইটটি।
বিমানবন্দরে নেমেই মিষ্টি আর ফুলের শুভেচ্ছার সঙ্গে সোনার মেয়েদের বরণ করে নেন বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। এরপর সেখানেই রয়েছে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন।
বিমানবন্দরের বাইরে সানজিদাদের জন্য অপেক্ষা করছে ছাদখোলা চ্য্যাম্পিয়ন বাস আর ফুটবল পাগল বাঙালির ঢল। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষেই ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে করে চ্যাম্পিয়ন যাত্রা শুরু করবে সানজিদারা। রাজধানীর সড়কের দুই পাশে অগণিত মানুষের অভ্যর্থনায় সিক্ত হতে হতে
দেশের স্বপ্নপূরণের আগে বেশ আক্ষেপ করেই বাংলাদেশের মিডফিল্ড তারকা সানজিদা বলেছিলেন, ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। ‘
সানজিদার ওই এক লাইনেই ঝড় উঠেছে দেশের মানুষের হৃদয়ে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আপামর জনসাধারণও এই মেয়েদের জন্য ছাদখোলা বাসের দাবি জানিয়েছিলো।
সানজিদার ওই ফেসবুক পোস্ট চোখে পড়েছিলো যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের। পরে মন্ত্রণালয় আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) যৌথ প্রচেষ্টায় একদিনের ভেতরেই সানজিদাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাস। বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদের অংশ কেটে ফেলে, সেই বাসটিকেই চ্যাম্পিয়নদের ছবিতে মুড়িয়ে তৈরি হয়েছে সানজিদাদের স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন বাস।
চ্যাম্পিয়ন যাত্রা শেষে মতিঝিলে বাফুফে কার্যালয়ে পৌঁছালে সেখানে এই সোনার মেয়েদের অভ্যর্থনা জানাবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।