স্বতন্ত্র বিক্ষোভ নজরদারি সংস্থা ওভিডি-ইনফো বলছে, শনিবার সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে রাশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য নতুন করে সাড়ে তিন লাখ সেনা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এমন ঘোষণার পরই যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। যুদ্ধে অংশ না নিতে বহু মানুষ রাশিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
রাশিয়ার আইন অনুসারে, অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ-সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগে পুতিনের পরিকল্পনাকে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ।
রাশিয়ায় গত সপ্তাহের বিক্ষোভ থেকে এক হাজার বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছিল। দিন দিন আটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
মস্কোতে অবস্থানরত এএফপির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শনিবার ব্যাপক্ষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল আন্দোলনকারীরা। রাশিয়ার দ্বিতীয় শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের এক বাসিন্দা বলেন, আমি পুতিনের জন্য যুদ্ধে যেতে চাই না।
৭০ বছর বয়সী নাটালিয়া দুবোভা বলেন, তিনি এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। তরুণদের জন্য চিন্তিত। কারণ তাদের ফ্রন্ট লাইনে যাওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
পুতিন একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, কোনো সেনা আত্মসমর্পণ করলে অথবা সামরিক বাহিনী থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে কিংবা যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করলে, তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট