র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘আপনারা জানেন করোনার সময় কিভাবে জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। তবুও পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা দায়িত্ব পালন করি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দায়িত্ব পালন করবো।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে পুলিশকে রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘গত দুই বছরে আমরা তিন হাজার অস্ত্র উদ্ধারসহ দুই হাজার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ৮ শতাধিক মানবপাচারকারী ও নারী নির্যাতনের অপরাধে ৬ শতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ’ তিনি বলেন, ‘র্যাবে অশনাক্ত মৃতদেহ শনাক্ত করার ডিভাইস সংযোজন করেছি। ফলে কোথাও কোনো মরদেহ পাওয়া গেলে আমরা সেখানে সেই টিম পাঠিয়ে ডিভাইসের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করি। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে র্যাবের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা আমাদের টার্গেট ছাড়িয়েছি। এ ছাড়া যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সেসব ঘটনার যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
র্যাব ডিজি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যেকোনো কাজ আমরা যখন করি, তা আইনানুগ পদ্ধতিতেই করি। আমাদের সঙ্গে যখন অপরাধীদের গুলি বিনিময় হয়, তখন আমরা সেখানে থাকি না। সেখানে থানা পুলিশ আসে। একজন ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। লাশ ময়নাতদন্ত করেন একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। একটা মামলা হয়। আদালতে সেটির যাচাই-বাছাই হয়। তাহলে র্যাবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কেন ওঠে। এসব ঘটনায় আমাদের লোকও আহত হয়, অঙ্গহানি হয়। অঙ্গহানি হওয়া সহকর্মী অনেক সময় চাকরি পর্যন্ত হারান। ‘
মাদকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ সেটা বিশ্বজুড়েই চলছে। জেলখানার অধিকাংশ আসামিরা মাদকের আসামি। যেখানেই মাদকের খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি। সবাই মিলে চেষ্টা করে মাদকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব। ’