পাটকাঠি আস্ত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীরা। এ যন্ত্র দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়ালে প্রায় ৭০% পর্যন্ত পাটকাঠি আস্ত থাকে।
মঙ্গলবার বারি’র ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহার্ভেস্ট প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএমপিই) বিভাগ এবং সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিএটিভ ফর সাউথ এশিয়া-মেকানাইজেশন এন্ড এক্সটেনশন এক্টিভিটি (সিএসআইএসএ-এমইএ), সিমিট, বাংলাদেশ এর যৌথভাবে আয়োজিত এক অনলাইন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জুম প্লাটফর্ম অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র সাবেক মহাপরিচালক ড. ক্ষীরোদ চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনলাইন কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, সিমিট এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. তিমোথি জে. ক্রপনিক এবং সিএসআইএসএ-এমইএ, সিমিট, বাংলাদেশ এর চিফ অফ পার্টি ড. ওয়েন কালভার্ট।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র এফএমপিই বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আইয়ুব হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএমপিই বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক।
কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২৫টি কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে বারি’র এফএমপিই বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক জানান, বর্তমানে দেশে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য বেশ কিছু যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়াতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাটকাঠি ভেঙ্গে যায়।
ফলে কৃষকেরা সেসব যন্ত্র ব্যবহার করতে চায় না। তাই কৃষকদের এ সমস্যা সমাধানে বারি’র এফএমপিই বিভাগের বিজ্ঞানীরা গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে এবং পাটকাঠি আস্ত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কারে সক্ষম হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এ যন্ত্র দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়ালে প্রায় ৭০% পর্যন্ত পাটকাঠি আস্ত থাকে।