ইউক্রেনের চার অঞ্চল রুশভুক্ত হওয়ার পরই রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নিষেধাজ্ঞা আসছে। সমরাস্ত্র-শিল্প কমপ্লেক্স ছাড়াও দুটি আন্ত্রর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাতের তিনজন প্রধান নেতা, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও রুশ আইনসভার ২৭৮ জন সদস্যকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
বাহির থেকে যেসব সংস্থা দেশটির সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করবে এবং ইউক্রেনের অঞ্চল যুক্তকরণে যারা সমর্থন দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে এক উৎসবমুখর আয়োজনে ইউক্রেনের চার প্রদেশের নেতারা রাশিয়ায় যোগদান সম্পর্কিত নথিপত্রে সই করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ‘লোভী’ ও ‘বিদ্বেষপূর্ণ’। তারা রাশিয়ার সমৃদ্ধি পশ্চিম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে তারা সবসময়ই চায় রাশিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাক এবং আমরা যেন তাদের সামনে নতজানু হতে বাধ্য হই। রাশিয়াকে নিজেদের উপনিবেশ বানাতে চায় পশ্চিম, আর আমাদের বানাতে চায় তাদের দাস।