সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতালির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছে দেশটির রক্ষণশীল জোট। এই জয়ের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী জর্জিয়া মেলোনি।
একই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব উঠল ডানপন্থি জোটের (ফার-রাইট) কাঁধে। ইতালির শাসকগোষ্ঠীর তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম উঠল মেলোনির। এখন দেখার বিষয়, যেভাবে ধূমকেতুর মতো উদয় হয়ে ইতালিয় নাগরিকদের মন জিতে সিংহাসনে বসলেন মেলোনি, ঠিক তেমনিভাবে ডুবতে থাকা ইতালিকে তিনি টেনে তুলতে পারেন কি না।
তবে ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে নিয়ে চিন্তিত চীন। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে নির্বাচনের সময় চীনের বিরুদ্ধে কিছু কঠোর মন্তব্য করেছিলেন মেলোনি।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া আউটলেটে প্রকাশিত একটি মতামতের অংশে গ্লোবাল টাইমস (জিটি) বলছে, ‘এটি আমাদের আন্তরিক আশা যে নতুন চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে। ইতালি সরকার’
গ্লোবাল টাইমস আশা প্রকাশ করে বলে বলেছে, “এটি আশা করা যায় যে ইতালির নতুন সরকার বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশকে চীনের সাথে তার সহযোগিতাকে ক্ষুণ্ণ করতে দেবে না এবং বিআরআই-এর জন্য বাস্তবসম্মত পথে থাকবে।”
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মেলোনি বলেছিলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের জন্য ইতালি সমর্থনের পথে পাল্টাবেন এবং তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করবেন।
নির্বাচনের আগে মেলোনির এমন বক্তব্যের ফলস্বরূপ চীনা মিডিয়ার এই সতর্কতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।