শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে সারাদেশে এখন আনন্দমুখর পরিবেশ। উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববার মহাসপ্তমীতে ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীর ভিড়ে জমজমাট ছিল সারাদেশের ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপ। আজ সোমবার মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশনসহ বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে একই সঙ্গে কুমারী পূজাও হবে।
গতকাল সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শুরু হয় দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ। এরপর দেবীর সপ্তমীবিহিত পূজা শেষে আয়োজন করা হয় পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ-আরতি। অনেক মণ্ডপেই ছিল আরতি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, দরিদ্রদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, নৃত্যনাট্য, ভক্তিমূলক সংগীত, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোও এদিন ঢাক-ঘণ্টার বাদ্যি-বাজনা আর ভক্তদের পূজা-অর্চনায় মুখর হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে সর্বত্র উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। নানা বয়সী দর্শনার্থী, পূজারি ও ভক্তের ভিড় ছিল। উৎসবে যোগ দিয়েছেন অন্য ধর্মের মানুষও। এতে মণ্ডপগুলো বাঙালির সার্বজনীন উৎসবের মেলাঙ্গনে রূপ নেয়। আজ ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে আজ প্রধান আকর্ষণই থাকবে কুমারী পূজা। সকাল ১১টায় রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য অল্পবয়সী একটি মেয়েকে কুমারী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যাকে দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা অনুসারে তার একটি নামকরণও করা হবে। দেবীর প্রতীক হিসেবে যে কুমারী মেয়েটিকে পূজা করা হবে, প্রথা ও নিরাপত্তার কারণে তার নাম ও পরিচয় পূজা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় না বলে জানিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। কুমারী পূজা ছাড়াও আজ রামকৃষ্ণ মিশনে প্রায় ৩৫ হাজার পূজারি ও দর্শনার্থীর মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। রাজধানী ছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশনের নারায়ণগঞ্জ, দিনাজপুর, ফরিদপুরসহ কয়েকটি মঠ ও ঐতিহ্যবাহী পূজামণ্ডপে আজ কুমারী পূজা হবে।