ইউক্রেনে আজ সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চলছে। কিয়েভে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভ ছাড়াও খারকিভ, লাভিভ, সামি, জপোরিঝঝিয়া, মাইকোলাইভ এবং দিনিপ্রোপেত্রোভস্কে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘অবিরতভাবে রকেট হামলা চলছে’।
অব্যাহত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একাধিক শহরের বিভিন্ন স্থান বিদ্যুৎহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সামি শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবগুলো জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু জায়গায় পানি সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
লাভিভ শহরের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি জানিয়েছেন, ‘শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। ট্রাফিক লাইটের এক তৃতীয়াংশ কাজ করছে না। বিদ্যুৎ সংকটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনাও স্থগিত রাখতে হয়েছে’।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। শুরুর দিকে ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে বেশ কিছু সময় ধরে তারা নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে অধিকৃত ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর আবারও ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরু হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন সন্ত্রাসী। তিনি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে কথা বলছেন। তার একমাত্র কৌশল হলো সন্ত্রাস। কিন্তু তিনি ইউক্রেনকে ভাঙতে পারবেন না। যারা তার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে চায় তাদের জবাব দিচ্ছেন পুতিন’।
বিবিসি জানিয়েছে, ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার দুদিন পর ইউক্রেনের কিয়েভ, লাভিভ, ডিনিপ্রো জাপোরিঝিয়াসহ বেশ কিছু শহরে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনে গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। শুরুর দিকে ইউক্রেন জুড়ে সক্রিয় ছিল রুশ সৈন্যরা।
এরপর নির্দিষ্ট কিছু এলাকার মধ্যে সংঘাত সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার ঘটনার দুদিনের মধ্যে আবারও ইউক্রেনজুড়ে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।এর আগে, শনিবার (৮ অক্টোবর) ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তকারী এই সেতুর ওপর ট্রাক বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়। ক্ষতি হয় সেতুর একটি অংশ। এ বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের স্পেশাল সার্ভিসের পরিকল্পনা, অংশগ্রহণ ও নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। রোববার (৯ অক্টোবর) ক্রেমলিনের টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এটিকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছেন পুতিন।