- চুলের যত্নে দীর্ঘদিন ধরেই মেহেদি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদির চেয়ে অনেকে বাজারে কেনা মেহেদিই বেশি ব্যবহার করেন। তবে রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন মেহেদিতেও নানা রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে যা চুলের ক্ষতি করে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ।
- মেহেদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। এতে চুলের যত্নও হবে, চুল সুন্দরও দেখাবে।
বাড়িতে মেহেদি বেটে ঘন মিহি পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করলে চুলে সুন্দর রং দেয় ও গোড়া সুস্থ রাখে।যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক ও ভেষজ মেহেদি ব্যবহার করতে পারলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।
অনেকে চুল রঙ করতে নানা রাসায়নিক ব্যবহার করেন। চাইলে প্রাকৃতিকভাবেও চুল রঙ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- ডালিমের খোসা, ইন্ডিগো, বিটরুট ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে মেহেদির কমলাটে রং কিছুটা গাঢ়, কালচে, বাদামি ও কপার করা যায়।
মেহেদির প্রাকৃতিক উপাদান কেবল চুলের সাদা রং ঢাকে না বরং চুলের অকাল পক্কতাও কমাতে সহায়তা করে।
মেহেদির ভিটামিন ই এবং ট্যানিন চুলকে প্রাকৃতিকভাবে মোলায়েম করে। আর ব্যবহারের পরের দিন তেল দিলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চুলকে করে মসৃণ।
মাথার ত্বকে কুসুম গরম তেল মালিশ মেহেদির রং দীর্ঘস্থায়ী করতে সহায়তা করে।
মাথার ত্বক সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে মেহেদি। মাথার ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করার পাশাপাশি সিবাম গ্রন্থির কার্যকারিতা কমিয়ে তেল উৎপাদন সীমিত করে।
মূলতানি মাটি ও মেহেদি-পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে তিন থেকে চার ঘন্টা রেখে ব্যবহার করলে মাথা তৈলাক্ত হওয়ার সমস্যা দূর হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট