রাশিয়ার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন মিত্ররা কিয়েভে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে ৫০টি দেশের মিলিত হওয়ার সময় ইউক্রেনের মিত্ররা এই সিদ্ধান্ত নেয়। কিয়েভ এই শীর্ষ সম্মেলনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ড ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এরআগে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জার্মানি ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে একটি হাই-টেক সিস্টেম সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের তথ্য সংগ্রহ এবং সরবরাহের ক্ষমতাকে সমর্থন করতে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি শত শত এরিয়াল ড্রোন প্রদান করবে। আরও ১৮টি হাউইটজার আর্টিলারি বন্দুক সরবরাহ করবে তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস জানান, এই অস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে তার আকাশকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো জানান, প্যারিস ইউক্রেনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করবে। কোন সিস্টেম পাঠানো হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে তিনি জানান, জনসংখ্যাকে ড্রোন থেকে রক্ষা করা তাদের প্রধান কাজ হবে।
কানাডা স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং ড্রোন ক্যামেরাসহ ৪৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইউক্রেন রাশিয়া সোমবার (১০ অক্টোবর) এবং মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং কয়েক ডজন ড্রোন ব্যবহার করে অনেক অবকাঠামো ও অন্যান্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই হামলায় প্রথম দিনে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।