Home » পাকিস্তান ও ইজরাইলের মধ্যস্থতায় ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে তারেক রহমানের গোপন বৈঠকের চেষ্টা!

পাকিস্তান ও ইজরাইলের মধ্যস্থতায় ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে তারেক রহমানের গোপন বৈঠকের চেষ্টা!

0 মন্তব্য 281 ভিউজ
রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠে রাজপথে পুনরায় রাজত্ব করতে বিএনপিকে পুনর্গঠনের নতুন চিন্তা-ভাবনা করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, লন্ডনে পলাতক, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। বিদেশে বসেই শক্তিশালী বিরোধী দল গঠন করে সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে রাখতে তারেক পরামর্শ নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নির্বাসিত নেতাদের। সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত তুরস্কের হিজমেত মুভমেন্ট নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তারেক।
যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে, এমন একটি সূত্রের বরাতে তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৌড়-ঝাঁপের বিষয়ে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেই সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বিএনপিকে মজবুত করে দলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অনেকটা মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারেক রহমান। প্রয়োজনে দলের অভ্যন্তরে আমূল পরিবর্তন আনতেও রাজি আছেন তিনি। তাই বিদেশে বসে কিভাবে শক্তিশালী একটি বিরোধী দল তৈরি করে বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের সরকারকে চাপে রাখা যায়, সেটি নিয়ে সম্প্রতি ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের সাথেও একাধিকবার বৈঠক করেছেন তারেক।
জানা গেছে, কার্লাইলের পরামর্শ অনুযায়ী তারেক নিজেকে নির্যাতিত ও সত্য প্রতিষ্ঠার নেতা দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত তুরস্কের বিতর্কিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। গুলেনের সাথে তারেকের যোগাযোগ স্থাপনে লন্ডনে পাকিস্তানের দূতাবাস চেষ্টা করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাকিস্তানের কাছের বন্ধুরাষ্ট্র ইসরাইলের মাধ্যমে তারেকের সাথে ফেতুল্লাহ গুলেনের যোগাযোগ হতে পারে। তবে সেজন্য ইসরাইলের মোসাদকে ১ মিলিয়ন পাউন্ড এবং আগামীতে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন কোম্পানির আড়ালে ইসরাইলকে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ করে দিতে হবে বিএনপিকে। এমন দুটি শর্তে পাকিস্তানের অনুরোধে ইসরাইল তারেক ও গুলেনের মাঝে যোগাযোগ করে দেয়ার কথা দিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, গুলেনের কাছে মূলত বিদেশে বসে দেশে কিভাবে রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার, দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ম্যাস-মুভমেন্ট সৃষ্টি, এমনকি সরকার উৎখাতের শিক্ষা নিতে চান তারেক। সেই অর্থে ফেতুল্লাহ গুলেনের ভাবশীষ্য হতে চান তারেক। কারণ তিনি মনে করেন, গুলেনের মতো তিনিও নির্যাতিত এবং আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম।
তবে গুলেনের সাথে সাক্ষাতের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, এমনকি আদৌ যোগাযোগ সম্ভব কিনা- সেটি নিয়েও অবশ্য এক ধরণের উদ্বেগ রয়েছে বিএনপির এই পলাতক নেতার মধ্যে। উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী ফেতুল্লাহ গুলেন এখন বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায়। হিজমেত মুভমেন্ট নামের শক্তিশালী একটি আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। নিভৃতচারী এই সাবেক ইমাম ও লেখক একসময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। সেটা অতীত। ২০১৬ সালে তুরস্কের ব্যর্থ সেনা অভ্যুন্থানের নেতৃত্বে ছিলেন এই  ফেতুল্লাহ গুলেন।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.