Home » পাকিস্তানে হাসপাতালের ছাদে পচাগলা লাশ, সংখ্যা ২০০ না ৫০০!

পাকিস্তানে হাসপাতালের ছাদে পচাগলা লাশ, সংখ্যা ২০০ না ৫০০!

0 মন্তব্য 255 ভিউজ

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাদে মিলল পচাগলা অসংখ্য মরদেহ। এ ঘটনায় ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

মুলতানের ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। লাহোর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরের ওই হাসপাতালের মরদেহ নিয়ে নানা তথ্য মিলছে। কেউ বলছেন, এ সংখ্যা ২০০, কারও কারও দাবি, সংখ্যাটি ৫০০–এর বেশি।

ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহী এ ঘটনার জন্য প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা সচিবের কাছে একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের ছাদে লাশ ফেলা অমানবিক। দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, মুলতানের ওই হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মরিয়ম আশরাফ এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতালে কীভাবে অজ্ঞাত ও দাবিহীন মরদেহগুলোর চিকিত্সা করা হয় এবং কীভাবে মরদেহগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তা জানান তিনি।
তিনি বলেন, হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত ও দাবিহীন মরদেহ রাখা হয়। সেই মরদেহগুলোতে পচন ধরতে শুরু হলে সেগুলো মর্গের ছাদে বাতাসযুক্ত কক্ষে রাখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, কিছু দাবিহীন মরদেহ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। আর তা নিয়ম ও বিধি মেনেই করা হয়েছিল।
তবে পাঁচ শতাধিক মৃতদেহ পাওয়ার খবর অস্বীকার করেন অধ্যাপক মরিয়ম আশরাফ। তিনি বলেন, চিকিত্সা পেশার লোকেরা আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন।
এরই মধ্য মুলতানের ওই সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক জামান গুজ্জর। গত শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় একজন তাঁকে বলেন, দয়া করে হাসপাতালের ছাদে গিয়ে দেখেন। মর্গে যাওয়ার সময় হাসপাতালের এক কর্মী পথ আটকান। তিনি মর্গের দরজা খুলতে রাজি হচ্ছিলেন না।

এরপর ওই কর্মী দরজা খুলতে বাধ্য হন। ছাদে তিনি লাশ দেখতে পান। আর একটি বন্ধ ঘরে তিনি ২৫টি পচাগলা লাশ দেখতে পান।

তারিক জামান বলেন, তাঁকে বলা হয়েছিল মৃতদেহগুলো মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘মৃতদেহগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পরে, জানাজার পর যথাযথভাবে দাফন করা উচিত ছিল। তা না করে সেগুলো ছাদে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.