টিম হোটেল সফিয়া টেলের সামনে অপেক্ষা করেও ক্রিকেটারদের দেখা মেলে না। মাঠের অনুশীলন চলাকালে হাই-হ্যালো পর্যন্তই শেষ। ক্রিকেটারদের চারপাশে অদৃশ্য একটা বলয়। সাকিব আল হাসান না শ্রীধরন শ্রীরাম এই বলয় তৈরি করে দিয়েছেন পরিস্কার না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সাকিবের তৈরি বলয় এটি। কারণ শ্রীরাম না, দলটা সাকিবের। নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ চলাকালেই কোচ শ্রীরাম এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘এটা সাকিবের দল। সে জানে কখন কী করতে হবে।’ বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ ভেন্যুতে পৌঁছানোর পর বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে গেছে, সাকিবই চালাচ্ছেন সবকিছু। আক্ষরিক অর্থেই বাইরের জগৎ থেকে ক্রিকেটারদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন তিনি। যাতে করে ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপের মতো বিতর্ক স্পর্শ করতে না পারে।
হোয়াটসঅ্যাপে এক খুদে বার্তায় সাকিবের কাছে দলের মানসিক অবস্থা সম্পর্ক জানতে চাওয়া হলে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হয়তো অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনের জন্য সবকিছু তুলে রেখেছেন তিনি। অধিনায়ক নিজেকে আড়াল করে রাখলেও দলের অন্যদের সঙ্গে সৌজন্য কথাবার্তায় ভেতরের আবহাওয়া বুঝে নিতে সমস্যা হয়নি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার ও ইয়াসির আলী রাব্বির কথায় মিশ্র একটা পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেছে। মোসাদ্দেক জানান, ‘খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে ভালো নেই। ম্যাচ জিততে পারছি না। ভালো থাকি কী করে?’ এই অভিজ্ঞতা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাসকিন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বুঝিয়ে দিলেন ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন পেস বোলিং ইউনিটের সদস্যরা। তিনি বলেন, ‘সবাই খুব ভালো শেপে আছে। দোয়া করবেন যেন ভালো খেলতে পারি।’ বোলিং ইউনিটের ভালো থাকারই কথা। ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং ভালো হয়েছে। মেহেদী মিরাজ ও ইয়াসির রাব্বির মতে, ভালো আছে বাংলাদেশ দল। খেলোয়াড়দের বক্তব্যে এটা পরিস্কার, বাইরে থেকে দেখা খোলসবন্দি বাংলাদেশ দলের বাস্তব চিত্র অন্য। মানুষ যেটাকে চাপ মনে করছেন, ক্রিকেটাররা সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছেন। এই মিশ্র অনুভূতি বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ভালো বা খারাপ যে কোনো দিক প্রভাবিত করতে পারে।