পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ভোটে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। গতকাল (ইসিপি) এক সর্বসম্মত রায়ে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই রায় দেন। সেই সঙ্গে পিটিআই চেয়ারম্যান এখন থেকে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন বলে রায়ে বলা হয়েছে।
এই নিয়ে শুক্রবার ইমরান খান তার সমর্থকদের বিক্ষোভ আপাতত বন্ধ রাখতে আহব্বান জানিয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি তার দলের কর্মীদের ইসলামাবাদে আসন্ন লং মার্চের ওপর জোর দিতে বলেছেন। ইমরান খান জানান, এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামনে ইমরানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ল। যদিও ইমরানের দল জানিয়েছে তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবে। কেননা ইমরান খানকে দায়রা জজের সামনে আরেকটি বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইতোমধ্যে ইসিপি ইমরানের বিরুদ্ধে উপহার গোপন করার মিথ্যা ঘোষণা দাখিলের অভিযোগ পাঠিয়েছে।
পিটিআই-এর আইনি শাখার এক সদস্য জানান, যেহেতু ইসিপির কাছ থেকে এমন রায়ের আশঙ্কা ছিল, তাই আইনী দল সিনেটর সৈয়দ আলী জাফরের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে একটি অগ্রিম পিটিশন তৈরি করেছে। তবে এই পথে ইমরানের দলকে বেগ পেতে হবে বলে রিপোর্ট বলছে।
ইসিপি-এর রায়ের পর ইমরান খান এক ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি চান না তা দলের কর্মীরা কোনো সমস্যায় পড়ুক। ইসিপি-র রায়ের পর ইমরানের দলের কর্মী ও সমর্থকরা দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নামে। ইসলামাবাদে পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান তিনি তার কর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধ করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন এবং আমি চাই না আপনারা সমস্যায় থাকুন।
ইমরান খান বলেন, আমি লং মার্চের জন্য আপনাদের ডাকব এবং এটি দেশের ইতিহাসে বিশাল আন্দোলন হতে যাচ্ছে। দেশে আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
পূর্ব রেকর্ডকৃত বার্তায় ইমরান ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে ধুয়ে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তারা তাকে নিশ্চুপ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি ইসিপির প্রধানকে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ করেছেন।