ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। বাতাস কিংবা দমকা হাওয়া না থাকলেও সকাল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছে। তবে নদী ও সাগর এখনও শান্ত থাকলেও জোয়ারের পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
নদী ও সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা সবাই উপকূলেই রয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের দরবার হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২৬টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখাসহ সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, শুকনা খাবার এবং নগদ অর্থ সরবরাহ করা হবে।
জানা যায়, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ সব স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপের টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলাতেও কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
এ সভায় জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা, সব উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, হাসপাতাল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।