গ্রুপ ১-এ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ছাড়া প্রতিটি দলের পয়েন্টই এখন তিন। তবে ১ ম্যাচ কম খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতায় তাদের রানরেটও ভালো (৪.৪৫০)।
নিউজিল্যান্ড তাদের বাকি তিন ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। সেমিফাইনালে যেতে এই তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিততে হচ্ছে না নিউজিল্যান্ডের। রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে খেলবে নিউজিল্যান্ড।
পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ড বাকি দুটি ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, যেখানে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবার সুযোগ নেই ইংল্যান্ডের সামনে। তবে সব সমীকরণ ঘুরিয়ে দিতে পারে বৃষ্টি। কারণ, নিউজিল্যান্ড–ইংল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
ইংল্যান্ডের সমান তিন পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় আয়ারল্যান্ড (-১.১৬৯) ও অস্ট্রেলিয়া (-১.৫৫৫) আছে যথাক্রমে টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বরে। তিন নম্বরে থাকা আয়ারল্যান্ডের সামনেও সুযোগ আছে। তবে সে কাজ মোটেই সহজ হবে না। কারণ, অ্যান্ড্রু বলবার্নির দল তাদের বাকি দুই ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। এই দুই দলকে শুধু হারালেও চলবে না , হারাতে হবে বড় ব্যবধানে।
তাই সেমিফাইনালের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বিশেষ কিছুই করতে হবে আইরিশদের।
অস্ট্রেলিয়া তাদের বাকি ম্যাচগুলো খেলবে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের সঙ্গে। দুই দলের বিপক্ষে শুধু জিতলেই চলবে না অস্ট্রেলিয়ার, বাড়িয়ে নিতে হবে রানরেটও।
২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে শ্রীলঙ্কা (০.৪৫০)। এই গ্রুপে তারাই একমাত্র দল, যাদের খেলায় বৃষ্টির কোনো ভূমিকা ছিল না। শ্রীলঙ্কা বাকি তিন ম্যাচেই জিতলে উঠে যাবে শেষ চারে। অন্তত দুটি ম্যাচ না জিতলে সেমিফাইনালে ওঠার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না লঙ্কানদের। তবে দাসুন শানাকাদের কাজটা সহজ হবে না। কারণ, এ সময়ে তাঁরা খেলবেন নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আফগানিস্তানের সর্বশেষ দুটি ম্যাচই হয়েছে পরিত্যক্ত। কোনো ম্যাচ না জিতেও ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তান (-০.৬২০) আপাতত গ্রুপের তলানিতে। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাকি দুই ম্যাচ জেতার পরও সেমিফাইনালের সমীকরণ তাদের জন্য মেলানো কঠিন।