বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। দুদলের জন্যই ম্যাচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে দুদলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। যারা জিতবে তারাই এগিয়ে যাবে সেমিফাইনালের পথে।
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন সাংবাদিকদের সাকিব জানান, ‘আমাদের পরবর্তী টার্গেট পরের দুটি ম্যাচ খুব ভালোভাবে খেলা। এর মধ্যে যদি কোনো ম্যাচ জিততে পারি তাহলে সেটা অঘটন বলেই গণ্য হবে। সেই অঘটনটা ঘটাতে পারলে আমরা খুশি হবো।’
যদিও ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিব মনে করিয়ে দিয়েছেন বাস্তবতা। তিনি বলছেন, ভারত বিশ্বকাপ জিততে এসেছে, বাংলাদেশ ওই লক্ষ্যে যাননি। আমরা ফেভারিট না। আমরা এটা ভালোভাবেই জানি, যদি ভারতকে হারাই সেটা হবে আপসেট; আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে সেটাই করতে চাই।’
গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গরম থাকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে। কালকের ম্যাচটা সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবটা সরাসরি দেননি সাকিব। তার আশা, ‘ভালো একটা ম্যাচ হলে অবশ্যই ভালো হবে দর্শকদের জন্য। শেষ ম্যাচটা ভালো ছিল। আশা করি তেমন একটা ভালো ম্যাচ যেন উপহার দিতে পারি।’ পরিকল্পনা থাকবে।’
এদিকে টি২০ দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীরাম সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি সে বেশ ভালোভাবে তার কাজ শেষ করেছে এখানে আসার পর থেকে। তার কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে যা নিয়ে সে কাজ করতে চেয়েছে। ছেলেদের সাথে তার সম্পর্কও ভালো। যেভাবে সে কথা বলে তা ছেলেদের কাছে ভালো লাগে। তার অধীনে আমরা কয়টা ম্যাচ খেললাম, আমি জানি না…হয়তো তিন, চার, পাঁচ, ছয়টা ম্যাচ। এই অল্প সময়ে আমি মনে করি সে তার কাজটা ভালোভাবে করেছে এরকম একটা তরুণ দল নিয়ে। আমি আশা করি সে বাংলাদেশের হয়ে চালিয়ে যাবে।’
শ্রীরামের অধীনে এখন পর্যন্ত ১১টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চার জয়ের দুটি এসেছে আরব আমিরাতের বিপক্ষে, বাকিগুলোর প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে।
শ্রীরামের মতো পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গেও চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে বিসিবির। এই দুজনের সঙ্গে বিসিবি নতুন চুক্তি করবে কি না বা তারা থাকতে চান কিনা তা সময়ই বলে দেবে।