বহুল প্রতীক্ষিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী সেতুর একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্প পরিদর্শনে যাওয়ার পর উড়ালসড়কটিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একটা লাইন খুলে দেয়া হলো। জুনের প্রথম সপ্তাহে পুরো উড়াল সড়ক উদ্বোধন করা হবে। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এ সড়কের দুটি লেন চালু হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেকটা কমবে। এতে ফ্লাইওভারের বাকি কাজও বেগবান হবে। আগামী বছরের ২০২৩ সালের মে থেকে জুনের মাঝামাঝি সময় বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের উপযোগী হবে। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উলতাহ খান, সড়ক সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, সেতু সচিব মনজুর হোসেন, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিআরটি প্রকল্পের তথ্যমতে, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেন এবং বাকি ১৬ কিলোমিটার সমতলে থাকবে। এ প্রকল্পের জন্য ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে টঙ্গী থেকে হাউসবিল্ডিং পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী দুটি লেন রোববার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুই কিলোমিটারের বেশি সড়কে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো অনেকটাই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন তথা বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুই লেনে শুধু বিশেষায়িত বাস চলাচল করবে। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।