মার্কিন নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০ সালের মতো ডেমোক্র্যাটরা তাদের রিপাবলিকান সমকক্ষদের চেয়ে বেশি অনলাইন ভোটিং অব্যাহত রেখেছে। আর এটাই হতে পারে রিপাবলিকান বা ট্রাম্পের জন্য তুরুপের কার্ড। কারণ, এমন কিছু রাজ্যে এ ঘটনা ঘটতেই পারে- যেখানে রিপাবলিকানদের বড় ব্যবধানে জিতার কথা। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, ওহাইও এবং উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের সবচেয়ে উত্তেজনা ছিল।
আগের চেয়ে বেশি উত্তাপ: এর আগে যত নির্বাচন হয়েছিল তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের নির্বাচন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগাম ভোট দানের উত্তেজনা আগের বছরগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্রেনান সেন্টারের ইলেকশন্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট প্রোগ্রামের সিনিয়র ডিরেক্টর লরেন্স নর্ডেন বলেছেন, নির্দিষ্ট কিছু প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ বা কেউ মিছামিছি জয়ের দাবি করতে পারে। এমনকি, কেউ কেউ ভোট গণনা বন্ধ বা গতি কমিয়ে দিতে পারে। এ নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। কারণ, বিশৃঙ্খলাকারীরা ২০২০ সালের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত।
দেশব্যাপী ফলাফল বিশ্লেষণাকারী এমিলি তামকিন লিখেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য ভালো খবর হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিপরীত প্রশ্ন হলো, উদারপন্থিরা প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিজেরাই কী করে তাও দেখার বিষয়। ডেমোক্র্যাটরা যদি মধ্যবর্তী মেয়াদ হারায়, তবে বাইডেন প্রশাসন অতিরিক্ত ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।