ইউক্রেনের জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, আগামী মাসগুলো ইউক্রেনের জন্য কঠিন হবে। রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতাকে খাটো করে দেখা কিছুতেই উচিত হবে না।
ইউক্রেনকে আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কিয়েভকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
খেরসন শহর থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবিশ্বাস্য সাহসের প্রশংসা করেন ন্যাটোপ্রধান।
সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, আগামী মাসগুলো কঠিন হবে। পুতিনের লক্ষ্য এই শীতে ইউক্রেনের জনগণকে ঠাণ্ডা ও অন্ধকারের মধ্যে ফেলা। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার ভুল করা আমাদের ঠিক হবে না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভে হামলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সূত্রপাত করে রাশিয়া। গত আট মাসে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ যুদ্ধ বহু দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যাদের বাণিজ্য রয়েছে স্যাংশন ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
যুদ্ধ শুরু হলে প্রথমেই ইউক্রেনের বাহিনী খেরসন শহর দখলে নেয়। এর পর থেকে রুশ বাহিনীকে দখলে নেওয়া কয়েকটি শহর থেকে পিছু হটতে হয়। সর্বশেষ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর থেকেও রুশ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরিপ্রেক্ষিতে স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবিশ্বাস্য সাহসের প্রশংসা করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার খেরসন শহর পরিদর্শন করেন। তিনি রোববার বলেন, এ অঞ্চলে রুশ বাহিনীর শত শত যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
স্টলটেনবার্গও বলেছেন, সেখানে রুশ বাহিনী চরম নৃশংসতা দেখিয়েছে।