‘জি-২০’ সম্মেলন এবার হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়া প্রায় সব শীর্ষ নেতাই বালিতে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিও বালিতে পৌঁছে আলোচনার ফাঁকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর সঙ্গে একান্তে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ;আমি বারবার বলছি, আমাদের একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেনে গণতন্ত্রের পথে ফিরতে হবে। গত শতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সেসময়ই বিশ্ব নেতারা শান্তির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এখন আমাদের পালা।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন শান্তির জন্য সমবেত প্রয়াস জরুরি। আমি আশা করি, পরের বছর ‘জি-২০’ সম্মেলন যখন বুদ্ধ ও গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে হবে, তখন আমরা সমবেতভাবে বিশ্বকে শান্তির বাণী শোনাতে পারব।’
এবার ‘জি-২০’ এর চেয়ারম্যানের পদ পাবে ভারত। পরের বছর ‘জি-২০’ সম্মেলন ভারতে হবে। মোদি সেই কথাই বলেছেন। মোদি বিশ্বের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, তার কথা বলেছেন। সেগুলি হলো, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন সংঘাত, করোনা এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে তার প্রভাব।
তিনি জানান, বিশ্বের সব জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিটি দেশের গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনের জীবনযাপন তাদের কাছে সংগ্রামের মতো।
মোদি বলেছেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে কোনো দ্বিধা করা উচিত নয় যে, জাতিসংঘ এই সব সমস্যার মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। আর আমরা উপযুক্ত সংস্কার কর্মসূচি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই বিশ্ব এখন ‘জি-২০’ এর দিকে তাকিয়ে আছে। ‘জি-২০’ এখন আরও প্রাসঙ্গিক হয়েছে।’