দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্য সংকটের গুজব উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকার সংকট দেখা দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরবরাহ করবে।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলোতে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।”
জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, “বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে। সেখানে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকের আমানত তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই বা তারল্য সংকট আছে। কিন্তু এটি সত্য নয়।”
“বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনও সংকট নেই,” যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছে। কোনও ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় কোনও ব্যত্যয় থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা নিরসন করার পদক্ষেপ নেবে।
লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্টের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট’ নীতি সর্বদা চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।
জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে চাহিদা ও সরবরাহে অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কমার্শিয়াল এলসি ওপেনিং বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সঠিক নয়।”
তিনি জানান, নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি ওপেন হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলারের। গত মাসের এ সময়ে যা ছিল ১২৩২ মিলিয়ন ডলার। অক্টোবরে এলসি ওপেন হয়েছে ৪৭৪৩ মিলিয়ন ডলারের।
মুখপাত্র বলেছেন, কমার্শিয়াল এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ব্যাংকগুলো তাদের রেমিট্যান্স আয় ও ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেচনায় ঋণপত্র খুলছে।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ডাকা এ সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এর ডিরেক্টর মো. সরওয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।