রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডের প্রজেওডো গ্রামে আঘাত হানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি। এ ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠক ডেকেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। খবর রয়টার্স।
তথ্য বলছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, এ জোটের সদস্যরা সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই পোল্যান্ডে রাশিয়ার সামান্য হামলাও ইউক্রেন যুদ্ধের পরিধি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্ররা বলেছে, তারা ঘটনাটির তদন্ত করছে। কিন্তু একটি বিপথগামী রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোলিশ গ্রামে আঘাত হানার বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। দুই ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের পর ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে পরামর্শের জন্য আর্টিকেল ৪-এর অধীনে জরুরি বৈঠক ডেকেছে পোল্যান্ড।
এদিকে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র পোলিশ ভূখণ্ডে আঘাত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ধরনের প্রতিবেদনগুলোকে ‘উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত উসকানি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনীয়-পোলিশ সীমান্তের কাছে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়নি রাশিয়া। মঙ্গলবার ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের দাবি, প্রায় নয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এবারের হামলা ছিল সবচেয়ে জোরালো৷ এদিন কিছু কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লভিভ শহরেও আঘাত হেনেছে, যা পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত।