যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। এতে করে চার বছর পর আবারও নিম্ন কক্ষের নিয়ন্ত্রণ চলেন গেছে তাদের হাতে। এরপর রিপাবলিকানরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের ব্যবসা খতিয়ে দেখার ঘোষণা দেয়। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার মাত্র একদিন পর রিপাবলিকান পার্টি ঘোষণা দিয়েছে, তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্য খতিয়ে দেখবে।
রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিদেশী ব্যবসা ও কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। ৫২ বছর বয়সী হান্টারের বিরুদ্ধে নির্বাহী তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
যদিও হান্টার বাইডেন বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নন।
কিন্তু রিপাবলিকানদের জ্যেষ্ঠ আইন প্রণেতারা জানিয়েছেন, ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কতটা জড়িত তা তারা খুঁজে বের করবেন। এমনকি জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনও ছেলেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা পেতে কি রকম সহায়তা করেছেন সেটিও তদন্ত করা হবে।
রিপাবলিকান নেতারা দাবি করেছেন, জো বাইডেন আমেরিকান জনগণের কাছে তার পরিবারের ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়ে মিথ্যা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে রিপাবলিকান নেতা জেমস কোমার জানান, পরিবারের ব্যবসা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট যেভাবে যুক্ত হয়েছেন তা ক্ষমতার অপব্যবহার। এটি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত, পরবর্তী কংগ্রেসে এটি তাদের প্রধান লক্ষ্যে থাকবে।
রিপাবলিকান নেতারা অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্টের ছেলে হান্টার বাইডেন কর ফাঁকি ও ডিজিটাল জালিয়াতি করেছেন। তবে এসব অভিযোগের জবাব দিতে হান্টারকে প্রতিনিধি পরিষদে ডাকার কোনো ঘোষণা দেননি তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা জিম জর্ডান। কাউন্সিলের বিচার বিভাগীয় কমিটির প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পাবেন বলে জানা গেছে।
জিম জর্ডান সংবাদ সম্মেলন শেষে এক টুইটার পোস্টে জানান, বাইডেন পরিবারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এদিকে রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতাদের এমন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে বিব্রত করতে রিপাবলিকানরা এমন তদন্তের চেষ্টা করছে