যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির’ জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন। গতকাল শুক্রবার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই দেশটির নেতা এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
উত্তর কোরিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পিয়ংইয়ংয়ের সব৴শেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সোমবার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে বৈঠকে আহ্বান জানাবে নিরাপত্তা পরিষদ।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার দাবি, হোয়াসং-১৭ ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র’।
আজ শনিবার কেসিএনএর খবরে বলা হয়, কিম জং–উন বলেছেন, ‘শত্রুরা যদি হুমকি দিতে থাকে, তাহলে আমাদের দল ও সরকার এর শক্ত জবাব দেবে। পারমাণবিক অস্ত্রের জবাব পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে দেওয়া হবে। শত্রুদের সংঘাতের জবাব সর্বাত্মক সংঘাতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।’
দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে আসছে উত্তর কোরিয়া। এর জেরে দেশটির ঘাড়ে চেপেছে আন্তর্জাতিক সব নিষেধাজ্ঞা। তবে পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী, দক্ষিণ কোরিয়াসহ তাদের মিত্রদের হুমকি মোকাবিলায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা।
এদিকে কিম জং–উনের হুঁশিয়ারি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল ২০টি দেশের জোট জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
ওই সাক্ষাতে সি চিন পিংকে বাইডেন এই বার্তা দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমর্থন জানাবে না ওয়াশিংটন। তিনি এটাও উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট যদি পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকাণ্ডে লাগাম না টানেন, তাহলে ‘উত্তর কোরিয়াকে স্পষ্ট বার্তা’ দিতে ‘প্রতিরক্ষামূলক’ জবাব দেওয়া হবে।