ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি সংস্থার প্রধান বলেছেন, দেশের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের চাহিদা কমাতে নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।
শনিবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ডিটিইকে’র প্রধান নির্বাহী ম্যাক্সিম টিমচেঙ্কো বলেছেন, “যদি তারা আরও তিন বা চার মাস থাকার জন্য একটি বিকল্প জায়গা খুঁজে পান, তবে এটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার জন্য খুব সহায়ক হবে।”
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ খাতের প্রায় অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার মধ্যে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। দেশটির বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে ইউক্রেনে এখন লোডশেডিং সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিটিইকে ইউক্রেনের এক চতুর্থাংশেরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। রুশ হামলার কারণে বর্তমানে চাহিদার অর্ধেকও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর কোনও বিকল্প নেই বলে জানান টিমচেঙ্কো।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, ইউক্রেনীয়দের এখন দেশ ছেড়ে যাওয়াকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করা হিসেবে দেখা উচিত।
টিমচেঙ্কো বলেন, “আপনি যদি কম খরচ করেন, তাহলে আহত সেনাদের জন্য হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় যে, কম খাওয়া বা চলে যাওয়ার মাধ্যমে তারা অন্য লোকেদের জন্য অবদান রাখতে পারেন।