তিনি বলেন, ‘গত সোমবার রাতে কুমিল্লা ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে হুন্ডিচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মীর মো. কামরুল হাসান শিশির (২৮), খোরশেদ আলম (৩৪), মো. ইব্রাহিম খলিল (৩৪), কাজী শাহ নেওয়াজ (৪৬), মো. আজিজুল হক তালুকদার (৪২) ও মো. নিজাম উদ্দিন (৩৫)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোনসেট, ১৮টি সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়। ’
তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ হুন্ডিচক্র প্রবাসীদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বৈদেশিক ওই মুদ্রার সমপরিমাণ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে অর্থপাচার করে আসছে। এ কাজে অপরাধীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজটি করছে। ’
প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে দেশ থেকে যারা টাকা পাচার করতে চায় তাদের দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ পাচারকারী ও তাঁদের সহযোগীরা দেশীয় মুদ্রায় ওই অর্থ এমএফএস এজেন্টকে দেন।
আর তৃতীয় গ্রুপ এজেন্ট কর্তৃক বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে। চক্রগুলো প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে এমএফএস ব্যবহার করে ক্যাশ-ইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডির ব্যবসা করছে।
সিআইডিপ্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন কুমিল্লার লাকসামে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউস জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্ট সিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন করছে। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিমে নজরদারি করে গত ছয় মাসে তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। এরপর এ রকম আরো ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পায় সিআইডি। তাদের সম্পর্কেও হুন্ডির ব্যবসা করার তথ্য পেয়েছি আমরা। ’