ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ৯ মাস পেরিয়েছে। কয়েক দিন ধরে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়ার বাহিনী। দুদিন আগের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিদ্যুৎ-ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। শহরের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখনো বিদ্যুৎহীন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর সমালোচনা করেছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণে কিয়েভের লাখো মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, শহরের বাসিন্দারা বিশেষ করে কিয়েভের বাসিন্দারা ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সকল শহরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। বিশেষ করে কিয়েভের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আরও অধিক কিছু করা প্রয়োজন।’
জেলেনস্কি বলেন, দয়া করে মনোযোগ দিন। কিয়েভের মানুষের আরও সমর্থন প্রয়োজন। তাদের অনেকে ২০-৩০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে। মেয়রের দপ্তর থেকে আমরা কোয়ালিটি কাজ প্রত্যাশা করছি।
গণমাধ্যমে জেলেনস্কির সমালোচনাকে ‘বিরল ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ করার পর জেলেনস্কি ইউক্রেনের জাতীয় ঐক্য দৃঢ় রয়েছে সেটা প্রমাণ করতে চেয়েছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো পেশায় একজন বক্সার ছিলেন। সেখান থেকে রাজনীতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ৫১ বছর বয়সী এই বক্সার ২০১৪ সালে কিয়েভের মেয়র নির্বাচিত হন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, রাজধানীতে ৪০০টির অধিক হিটিং পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এসব জায়গায় শহরের বাসিন্দারা ইলেকট্রনিক ডিভাইস রিচার্জ, গরম চা-কফি পাসনসহ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বাস্তব তথ্য পাবেন।
কিয়েভের মেয়র এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সমালোচনার জবাব দেননি। সম্প্রতি এক বক্তব্যে ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, ‘আমার যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা ব্যাখা করতে গেলে কয়েক সপ্তাহ প্রয়োজন। রাশিয়া সন্ত্রাস করছে, তারা আমাদের বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঠাণ্ডার ভেতর রেখেছে। গরম করার ব্যবস্থা নেই, পানি নেই।