Home » বিদেশি হস্তক্ষেপে কল্যাণ হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদেশি হস্তক্ষেপে কল্যাণ হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0 মন্তব্য 179 ভিউজ

বিদেশিরা যেখানেই মাতব্বরি করেছে, সেখানকার অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে, এটা জেনেও বাংলাদেশের অনেকেই বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন। শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণমূলক সংগঠন ‘ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন’ (ফোসা) এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’ এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের হস্তক্ষেপে কোনো রাষ্ট্রের কল্যাণ হয় না। কিছু কিছু লোক বিদেশিদের কাছে যেতে চান, তারা একটা চাপ দিক। এটা খুবই দুঃখজনক। তারা হস্তক্ষেপ করলে কোথাও ভালো ফল আসে না।  আমাদের অভিজ্ঞতা হল, বিদেশিরা যখন স্বদেশের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন সেই দেশের মঙ্গল হয় না। আফগানিস্তান কী কষ্টে আছে এই বিদেশিদের জ্বালায়। চিলিতে পিনোশে (চিলির স্বৈরশাসক) জনপ্রিয় ছিলেন, কিন্তু বিদেশিদের কারণে ধ্বংস হয়।

ফোসা এর উদ্যোগে দিনব্যাপী চ্যারিটি বাজারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক সেলিনা মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ফোসা’র সভাপতি পররাষ্ট্র সচিবের সহধর্মিণী ফাহমিদা জেবিন সোমা, মন্ত্রণালয়ের সচিব খুরশিদ আলম, সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, ফোসা’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফোসা পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর মঙ্গল আলোয় ফাউন্ডেশন, স্বরলিপি, আজুরা, সিরাত, কারুতন্ত্র, বেক্সওয়ারসহ বিভিন্ন সংগঠন চ্যারিটি বাজারে দেশিয় পণ্য, গৃহস্থালি, গহনা, খাবার সাজিয়ে দর্শকদের আকৃষ্ট করে। মঙ্গল আলোয় ফাউন্ডেশনের প্রধান ফোসা সদস্য নার্গিস সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের মেলা থেকে আমরা যা আয় হয়, অসহায় হতদরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করি। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সাদারণ মানুষের পাশে থাকছি। মেলায় জান্নাতুল ফেরদৌসি তার দুই সন্তান আরিয়ান ও আজিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে হাতে তৈরি খেজুরগুড়, মুরি, মুরকি, গুড়ের জিলাপি, বিভিন্ন ধরনের আচার, লাল চিড়া ও চালের আটার পসরা নিয়ে সাজান তার স্টল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য, পোশাক, শাড়ি, বুটিক পণ্য, লেদার পণ্য, বই প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পায়। বিদেশি দূতাবাসগুলোর মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, প্যালেস্টাইন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম দূতাবাস চ্যারিটি বাজারে অংশগ্রহণ করে।

ফোসা’র সামাজিক ও কল্যাণমূলক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চ্যারিটি বাজার থেকে অর্জিত আয় আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে। চ্যারিটি বাজারে ৮টি বিদেশিসহ মোট ৪৮টি স্টল স্থান পায়।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.