Home » আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স: পরিসংখ্যান কার পক্ষে?

আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স: পরিসংখ্যান কার পক্ষে?

0 মন্তব্য 168 ভিউজ

ফ্রান্স জিতলে হবে টানাই দুই বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আর আর্জেন্টিনা জিতলে সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে মেসির হাতে বিশ্বকাপ। এমন মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে পরিসংখ্যানে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

দুই দলের পরিসংখ্যান 

#ষষ্ঠবারের মতো ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা।  ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা, যেখানে উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরেছিল তারা ৪-২ গোলে। ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে ও ১৯৮৬ সালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ পায় দলটি। ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে জার্মানদের কাছে ১-০ গোলে হেরে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভাঙে তাদের।

 

#আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবশেষ ৪২ ম্যাচে স্রেফ একটি হেরেছে আর্জেন্টিনা, সৌদি আরবের বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। এই পথচলায় ২৯ ম্যাচ জিতেছে তারা, বাকি ১২টি ড্র।

#কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১২ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে শিরোপা জয়ের পথে করা ১৪ গোলের পর যা এক আসরে তাদের সর্বোচ্চ।

#এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যায় তার দল। বিশ্বকাপ ছাড়া ক্লাব ও জাতীয় দলের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন সময়ের সেরা এই ফরোয়ার্ড।

#ফ্রান্স বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে চতুর্থবারের মতো। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেই শিরোপা ঘরে তোলে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে। পরে ২০০৬ সালের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফরাসিরা। নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জেতে দলটি গত আসরে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে।

#২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে ফ্রান্স। ইতিহাসের তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি দলটির সামনে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল পরপর দুইবার শিরোপা জিতেছিল।

#কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে ৫ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৮ আসরে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের পথে করা নিজের ৪ গোল। বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচ খেলে ২৩ বছর বয়সী এমবাপ্পের গোল মোট ৯টি।

#বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১১ গোলের রেকর্ড এখন মেসির। ফাইনালে একটি গোল করলেই সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের পাশে বসবেন তিনি।

#ফ্রান্সের উগো লরিসের সামনে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। তার নেতৃত্বেই গত আসরে বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তুলেছিল ফ্রান্স।

#ফাইনালে নামলেই বিশ্বকাপে গোলরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড হয়ে যাবে উগো লরিসের। ছাড়িয়ে যাবেন তিনি জার্মানির মানুয়েল নয়ারের ১৯ ম্যাচ খেলার কীর্তি।

#বিশ্বকাপে এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। যেখানে দুইবার জয়ের মুখ দেখেছে আলবিসেলেস্তেরা, একবার জিতেছে ফরাসিরা।

১৯৩০ সালে উদ্বোধনী আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৭৮ সালে ২-১ ব্যবধানে জেতে লাতিন আমেরিকার দলটি। বিশ্ব সেরার মঞ্চে দুই দলের সবশেষ দেখা চার বছর আগে। রাশিয়া আসরে শেষ ষোলোয় ৪-৩ গোলে আর্জেন্টাইনদের হারিয়ে দেয় ফরাসিরা।

সব মিলিয়ে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে মোট ১২ ম্যাচ। সেখানে ৬ ম্যাচ জিতে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স জিতেছে তিনবার। দুই দলের বাকি তিন লড়াই ড্র হয়েছে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.