Home » বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ

বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ

0 মন্তব্য 71 ভিউজ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ ৪২ মাসে সাতটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে প্রথম কিস্তির ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার তাৎক্ষণিকভাবে ছাড় করা হবে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশই প্রথম এশিয় দেশ, যার এই তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে। ২.২ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এ ঋণের জন্য কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশন প্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এ ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন। অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে, আইএমএফ হয়তোবা আমাদের এ ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। এতে পরিমাণের কথা উল্লেখ ছিল না। পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.