রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বাখমুতের উত্তরে তীব্র গোলাবর্ষণ ও হামলার পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাখমুতের ঠিক উত্তরে পারসকোভিভকা গ্রামের পরিস্থিতি কঠিন ছিল। ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বাখমুত এলাকায় ১৬টি বসতিতে রাশিয়ার আর্টিলারি ও ট্যাংক হামলার কথা জানিয়েছে।
এদিকে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার আধাসামরিক গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান দাবি করেছেন, তারা ক্রাসনা হোরা নামের একটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। রোববার রাতের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে শ্রমিকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। বেশিরভাগ মানুষকে শনিবার ও রোববার খুব বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, জ্বালানি ক্ষেত্রে এটি এখনো নিষ্পত্তিমূলক বিজয় নয়। দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া নতুন করে হামলা করতে পারে। যদি আরও ধ্বংস বা খরচ বৃদ্ধি পায় তাহলে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।’
তবে তিনি আশংকা করছেন, সোমবার অফিস শুরু হলে নির্ধারিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট আবারো হবে। বাখমুত ইউক্রেনের ডোনেটস্ক অঞ্চলে অবস্থিত। এলাকাটি দখলের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের কয়েক মাস ধরে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে।