Home » কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রফতানি নেমে এসেছে অর্ধেকে

কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রফতানি নেমে এসেছে অর্ধেকে

0 মন্তব্য 12 ভিউজ

চার মাস আগের তুলনায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রফতানির পরিমাণ নেমে এসেছে অর্ধেকে। ফলে কিয়েভে বাণিজ্য সংকট বাড়ার পাশাপাশি আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার কিছু অংশে তৈরি হতে পারে খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা।

যুদ্ধের কারণে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গত জুলাইয়ের শেষ নাগাদ কৃষ্ণসাগরের তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর খুলে দেয়া হয়। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যেকার এক চুক্তির পরে এসব বন্দর খোলা হয়। তখনই ইউক্রেন থেকে বাকি বিশ্বে শস্য রফতানি আবার শুরু হয়।
আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, চার মাস আগের তুলনায় এখন শস্যবাহী জাহাজের সংখ্যাও কমে এসেছে অর্ধেকে। এ জন্য ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দোষারোপ করছে রাশিয়াকে। তবে মস্কো বলছে, শস্য পরিবহন কমায় তাদের কোনো দায় নেই।

বিশ্বের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন থেকে রফতানি হওয়া গম, বার্লি ও অন্যান্য শস্য পূর্বোল্লিখিত এলাকাগুলোর খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু যুদ্ধরত দেশটি থেকে শস্য রফতানি শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা সংকট লেগে রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকদফা নানা ঝামেলায় আটকে ছিল পরিবহন।
আগের মৌসুমের তুলনায় গত জানুয়ারিতে কম শস্য রফতানি হয়েছে ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এ পরিমাণ কেনিয়া ও সোমালিয়ার জন্য প্রায় এক মাসের খাদ্যের জোগান। গত অক্টোবরের পর থেকে জানুয়ারিতে শস্য রফতানির পরিমাণ নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।

গত জানুয়ারিতে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট রফতানি হওয়া শস্যের মধ্যে ৮৬ লাখ টন গম, এক কোটি ৩৩ লাখ টন ভুট্টা ও ১৭ লাখ টন ছিল বার্লি।

দেশটির সরকার বলছে, চলতি বছর ইউক্রেন পাঁচ কোটি ১০ লাখ টন শস্য সংগ্রহ করতে পারে, যেখানে ২০২১ সালে আট কোটি ৬০ লাখ টন ফসল উৎপাদনের রেকর্ড করে। কিন্তু এবার রুশ সেনাদের কাছে বেশকিছু ভূমি হারিয়ে ফেলেছে ইউক্রেন, তাছাড়া ফলনও হয়েছে বেশ কম।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.