ইউক্রেনের পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ান অধিকার করা নিয়ে চীন এখন সন্দিহান, বললেন সিআইএ প্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান উইলিয়াম বার্নস মনে করেন, তাইওয়ান নিয়ে চীনের মনেও এখন প্রশ্ন জেগেছে। এই প্রশ্নটা জেগেছে ইউক্রেনে রাশিয়ার অবস্থা দেখে।
একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বার্নস জানিয়েছেন, তাইওয়ানকে সামরিক শক্তি দিয়ে দখল করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে চীনের মনেও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে তার মতে, তাইওয়ান নিয়ে চীনা হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতেই হবে।
সিআইএ প্রধান জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের সেনা ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান অভিযানের জন্য তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে ২০২৭ এর মধ্যে তিনি তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাবেন।
বার্নস বলেছেন, ‘আমরা অন্তত মনে করছি, প্রেসিডেন্ট শি ও তার সহযোগীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তারা তাইওয়ানে সফলভাবে আগ্রাসন চালাতে পারবে কি না। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে পুতিন ধাক্কা খেয়েছেন। সম্ভবত এটাই চীনের কর্তাদের চিন্তায় ফেলেছে। তাদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’
তবে সিআইএ প্রধান জানিয়েছেন, তারা চীনের প্রেসিডেন্টের তাইওয়ান বিষয়ক মন্তব্য একেবারেই হাল্কাভাবে দেখছেন না। তিনি মনে করেন, এই দশকের শেষে ও আগামী দশকের গোড়ায় জোর করে তাইওয়ান দখল করার মনোভাব বাড়বে।
রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য ম্যাককল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, শি আগামী সপ্তাহে মস্কো গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তবে পুতিন এই ধরনের কোনো বৈঠকের কথা বলেননি। মস্কো বা বেইজিংও এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ম্যাককল রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, চীন রাশিয়াকে ড্রোন দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। তার অভিযোগ, পুতিন ও শি এর মধ্যে জোট রয়েছে। তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আগ্রাসনে নামার পক্ষে। তার বক্তব্য, আজ ইউক্রেনে যা হচ্ছে, কাল তাইওয়ানে সেটাই হবে।