Home » মেট্রোরেলে ৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে মিরপুর-১০ থেকে উত্তরা,

মেট্রোরেলে ৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে মিরপুর-১০ থেকে উত্তরা,

0 মন্তব্য 11 ভিউজ

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বরের স্টেশনটি চালু হয়েছে। আজ পয়লা মার্চ (বুধবার) সকাল থেকে এ স্টেশনেও ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া শুরু হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) পর্যন্ত যেতে মেট্রোরেলে সময় লাগে ৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড। যাত্রাপথে মাঝে পল্লবী (উত্তরা-১২ নম্বর) এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দেয়। দুটি স্টেশনের ট্রেনটি প্রায় এক মিনিট থেমে যাত্রী উঠানামা করায়।

মিরপুর থেকে উত্তরা যেতে ট্রেনটি সর্বোচ্চ প্রতি ঘণ্টায় ৯৩ কিলোমিটার বেগে ছুটেছিল। উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের যাওয়ার পথে ট্রেনের এমন গতি দেখা যায়। এ ছাড়া বাকি পথ ট্রেনটি ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছে। বাঁকা পথে ট্রেনের গতি ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে দেখা গেছে।

তবে স্টেশনটি চালুর প্রথম দিনে টিকিট কাউন্টার (দ্বিতীয় তলা) এবং ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ ছিল। স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের একজন জানান, প্রথমে চালু ছিল। পরে সকাল ৯টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ট্রেনের টিকিট কাটার যন্ত্রেও ভাংতি টাকা ছিল না। স্কাউটসের সদস্যরা যাত্রীদের যন্ত্রে ভাংতি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে বলছিলেন। এ নিয়ে একজন স্কাউট সদস্য বলেন, আজ প্রথম দিন। টিকিট বিক্রয় যন্ত্রে ভাংতি টাকা নেই। আজ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাংতি টাকা নেওয়া হচ্ছে। পরের দিন থেকে আর ভাংতির সমস্যা হবে না।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের স্টেশনগুলো চালু হওয়ায় ট্রেনের যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে বলে মেট্রোস্টেশনের আনসার, রোভার স্কাউটসের সদস্যরা জানিয়েছেন। সরেজমিন ট্রেনে যাত্রীদের উপস্থিতি ভালোই দেখা গেছে। ট্রেনের কোচগুলোর ভেতরে বসার আসন ছিল পরিপূর্ণ। যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন কর্মস্থলে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা। ট্রেনের ভেতরে অনেক নারী যাত্রী দেখা গেছে। তবে শিক্ষার্থীদের অনেকে মেট্রোরেলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে ট্রেনে চড়ে ভ্রমণ করছিলেন।

পল্লবী স্টেশন চালু হওয়ার পর থেকেই মেট্রোরেলে নিয়মিত উত্তরায় কমর্স্থলে যাতায়াত করছেন মিরপুর-১২ নম্বরের বাসিন্দা আফজাল করিম। তাঁর কর্মস্থল উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে। তিনি বলেন, ‘এখন ঘড়ির কাটা ধরে বাসা থেকে বের হই। সময়মতো অফিসে পৌঁছে যাই। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে বাসে চড়ার কথা চিন্তাই করতে পারি না। যেদিন (মঙ্গলবার) সাপ্তাহিক বন্ধ, সেদিন মেট্রোর নিচ দিয়ে তৈরি রাস্তায় রিকশায় মিরপুর থেকে অফিসে চলে যাই।’
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ফেরার সময় স্টেশনটিতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে উত্তরা, টঙ্গী, আবদুল্লাহপুর থেকে মেট্রোস্টেশনে গিয়ে আগারগাঁওয়ে থাকা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে যাচ্ছিলেন।

তাঁদের একজন তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী মো. আরিফ। তিনি স্ত্রী শারমীন আক্তার ও চার মাসের ছেলেসন্তান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। আরিফ টঙ্গী মিলগেট এলাকায় থাকেন। তিনি সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় প্রথমে কামারপাড়া মোড়ে যান। সেখান থেকে আবার সিএনজিচালিত রিকশায় উত্তরা উত্তর স্টেশনে যান। পরে আগারগাঁওয়ের দুটি টিকিট করেন।
আরিফ বলেন, ‘গত দুই মাসে তিনবার ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি। প্রতিবারই মেট্রোরেলে গেছি। বাসে টঙ্গী থেকে আগারগাঁও যাতায়াত অনেক কষ্টের ছিল। আর সিএনজিতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাগত। এখন ট্রেনে আরামে যেতে পারছি।’

উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে এখন পর্যন্ত মাঝের তিনটি স্টেশন চালু হয়েছে। এর মধ্যে উদ্বোধনের পর গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং সবশেষ মিরপুর-১০ স্টেশন আজ চালু করা হলো। এ ছাড়া চলতি মার্চের মধ্যেই উত্তরা-আগারগাঁও অংশে থাকা বাকি স্টেশনগুলো অর্থাৎ পুরো ৯টি স্টেশনই চালু করা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.