মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুক্রবার (২ মার্চ) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক ঘণ্টারও বেশি সময়ব্যাপী বৈঠকে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধের এক বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মিত্র চীন রাশিয়াকে কোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করলে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে। এরমধ্যেই বাইডেন ও শলৎস রাশিয়ার বিষয়ে তাদের কড়া অবস্থান ব্যক্ত করলেন।
বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও জার্মানির চ্যান্সেলরের একান্ত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে দেশটিকে নিরাপত্তা, মানবিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ইউক্রেনের জনগণের প্রতি অব্যাহত ‘বৈশ্বিক সংহতি’র বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
বাইডেন বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য তার শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতৃত্ব এবং সমর্থনের জন্য জার্মান চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান। শলৎস জানান, এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে মিত্ররা যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করতে থাকবে।
দুই দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বাইডেন ও শলৎস রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবস্থা ও চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বার্ষিকীর এক সপ্তাহ পর একদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার দ্বিতীয় আমেরিকা সফর।