তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন লিটন দাস। এরপর ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন দলে সুযোগ পাওয়া রনি তালুকদার। এই ওভার থেকে ১০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন রনি। পঞ্চম বলে ফের চার মারেন রনি। এই ওভার থেকে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন জোফরা আর্চার। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন লিটন। এরপর ওভারের শেষ বলে চার মারেন রনি। এই ওভার থেকে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে স্পিনার আলিদ রশিদকে বোলিংয়ে আনেন বাটলার। ওভারের দ্বিতীয় বলে রনিকে বোল্ড করেন রশিদ। দলীয় ৩৩ রানে ১৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রনি। ক্রিজে এসে ওভারের শেষ বলে চার মারেন শান্ত।
এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন আর্চার। ওভারের পঞ্চম বলে লিটন দাসকে আউট করেন আর্চার। দলীয় ৪৩ রানে ১০ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন শান্ত। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ওকসের বলে টানা চারটি চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ১৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম এক চারের সাহায্যে ১১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ইনিংসের নবম ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন স্যাম কুরান। ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর ইনিংসের দশম ওভারে চতুর্থ বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভার থেকে ৮ রান নেয় বাংলাদেশ।
ইনিংসের ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান হৃদয়। অন্যদিকে ২৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন শান্ত। তবে দলীয় ১০৮ রানে ১৭ বলে ২৪ রান করে আউট হন হৃদয়।
এরপরে দলীয় ১১২ রানে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত। ৩০ বলে ৫১ রান করে আউট হন শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর আফিফ হোসেন ও সাকিব মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের সুবাস পেতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এরআগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংলিশরা। ফিল সল্টকে সঙ্গে নিয়ে ১০ ওভারে ৮০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক জস বাটলার।
এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড হারায় ২ উইকেট। ফিল সল্টকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান, সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ইংলিশ ওপেনার। তবে আল্ট্রা-এজ নিশ্চিত করেছে, ব্যাটের নিচের দিকে লেগেছে বল।
নাসুম আহমেদের শিকার হয়ে ৩৫ বলে ৩৮ রানে ফেরেন ফিল সল্ট। এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডেভিড মালান (৪)।
সাকিবের করা বলটি সামনে এসে খেলেন মালান। লং অনে ফিল্ডিং করা নাজমুল হোসেন শান্ত কোনো ভুল করেননি। তার ক্যাচে পরিণত হয়ে দলীয় ৮৮ রানে মালান ফেরেন সাজঘরে।
১৫.৬ ওভারে দলীয় ১৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের করা বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বেন ডাকেট। ১৩ বলে ২০ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ইংল্যান্ড হারায় তৃতীয় উইকেট।
১৯ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু ফিল্ডার সাাকিব রাখতে পারেননি বাটলারের ক্যাচটি। সাকিবের হাত ফসকে বলটি মাটিতে পড়ে যায়।
নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাকিবের কল্যাণে নতুন জীবন পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬.১ ওভারে দলীয় ১৩৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ৪২ বলে চার বাউন্ডারি আর চারটি ছক্কার সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান।
হাসান মাহমুদের বলে লং অনের পরও দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেখানে ফির্ল্ডিং করা নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পরেন তিনি। ১৮.৫ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন স্যাম কারেন। ১৪৬ রানে ইংল্যান্ড হারায় পঞ্চম উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান ২৬ রান দিয়ে দুটি এবং সাকিব, তাসকিন, মুস্তাফিজ ও নাসুম নেন একটি করে উইকেট।