Home » নদীর তীরে লাল মরিচ

নদীর তীরে লাল মরিচ

0 মন্তব্য 48 ভিউজ

নওগাঁর আত্রাইয়ের ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর তীরে মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য দেখা দিয়েছে। নদীর দুই পাড়ের পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলে নদী পাড়ের কৃষকদের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহের এ মনকাড়া দৃশ্য বিমোহিত করছে সকলকে।

বর্তমানে ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। গত মৌসুমে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নবউদ্যমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মরিচ চাষিরা তাদের জমিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য।

মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মন ভরে উঠেছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওযার প্রস্তুতি নেন কৃষকরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া আসায় কঠিন হয়ে দাঁড়াই এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় মরিচ চাষিরা।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের আটগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান, আজাহার আলী, আব্দুল খালেক বলেন, আত্রাই নদীর তীরে আমরা প্রতিবারের ন্যায় এবারও জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেএম মাহাবুব বলেন, আত্রাই উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এই নদীর দুই তীরে কৃষকরা মরিচ চাষে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন, সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.