Home » ১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ে সিরিজ টাইগারদের

১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ে সিরিজ টাইগারদের

0 মন্তব্য 219 ভিউজ

আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় টাইগারদের। আগের দুই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ভাঙাগড়া হলো। এবার বাংলাদেশের রানের পাহাড়ে যেন চাপা পড়তে না হয়, সেজন্য প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল আইরিশরা। তাতে হয়ে গেলো আরেক রেকর্ড। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০২ রান তাড়া করে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তামিম ইকবালের দল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ১০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। .
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিফেন ডোহেনি। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আইরিশ শিবিরে আঘাত হানে টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। দলীয় ১২ রানে ২১ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান স্টিফেন ডোহেনি। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। অ্যান্ডি বালবির্নিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন স্টার্লিং। তবে ইনিংসের নবম ওভারে আইরিশ দুর্গে ফের আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ২২ রানে ১২ বলে ৭ রান করে আউট হন স্টার্লিং। এরপর নবম ওভারের চতুর্থ বলে হ্যারি টেক্টরকে ফেরান হাসান।
এরপর ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে এসে অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নির উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় ২৬ রানে ১৮ বলে ৬ রান করে আউট হন বালবির্নি। বালবির্নির বিদায়ের পর লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফার মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। দুজনেই দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন। দু’জন মিলে ৪২ রানে জুটি গড়েন। তবে দলীয় ৬৮ রানে লরকান টাকারকে আউট করেন পেসার এবাদত হোসেন। ৩১ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান টাকার।
এরপর ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিকে আশা জাগান এবাদত। তবে হ্যাটট্রিক করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ইনিংসের ২২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন তাসকিন। দলীয় ৭৯ রানে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও মার্ক অ্যাডায়ারকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন।
এরপর দলীয় ৯৬ রানে কার্টিস ক্যাম্পারকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। ৪৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে গ্রাহাম হিউম আউট হলে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। আর গ্রাহাম হিউমকে আউট করে পাঁচ উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ।
১০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। লিটন কিছুটা দেখেশুনে খেললেও মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার।
এরপরও মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। এই দুই ব্যাটারের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৬ ওভার ৫ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। তামিম ৪১ বলে ৪১ ও লিটন ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.