চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরমে ঝড়-বৃষ্টির দেখা না পাওয়া গেলেও বাজারে কিন্তু কাঁচা আমের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। একে একে গরমের সব ফলই বাজারে পাওয়া যাবে। আম, কাঁঠাল, জাম, তরমুজের সঙ্গে পাওয়া যাবে লিচুও। ছোট থেকে বড় সবাই লিচুর পাগল। সবার পছন্দ হলেও লিচু খেতে গিয়ে সতর্ক থাকতে হয় এমন অনেকেই বলে থাকে। তাই চলুন বাজার থেকে লিচু কেনার আগে জেনে নিই লিচুর ভালো-মন্দ।
১) খালি পেটে লিচু না খাওয়াই ভালো। লিচুতে থাকতে পারে হাইপোগ্লাইসন এ, এমসিপিজি ইত্যাদি। যা আমাদের যকৃতে গ্লুকোজ উৎপাদন ও চর্বি ভাঙতে বাধা দেয়। শিশুরা অনেকক্ষণ না খেয়ে খালি পেটে লিচু খেলে সমস্যা হতে পারে।
২) খালি পেটে যেমন খাওয়া যাবে না, তেমনি লিচু খেয়ে বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকাও যাবে না। কারণ, লিচুতে থাকা ‘এমসিপিজি’ বা ‘মিথাইলেনসাইকোপ্রপাইগ্লিসারিন’ রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
৩) লিচু খাওয়া খারাপ না হলেও বেশি পরিমাণে লিচু খাওয়া ঠিক নয়। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। খাবার গ্রহণের পর একসঙ্গে ৫-৭টি লিচু খাওয়া যেতে পারে।
৪) ডায়াবেটিস থাকলে একটু নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। লিচুতে শর্করার মাত্রা বেশি। ফলে বেশি লিচু রক্তে গ্লুকোজ়র মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৫) লিচুর খোসায় কীটনাশক বা বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে, তাই ধুয়ে খাওয়া ভালো।
৬) কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া ঠিক নয়। কাঁচা লিচু খেলে বমিভাব বেড়ে যেতে পারে। এতে থাকা হাইপোগ্লাইসিন-এর প্রভাবে এটি হতে পারে।