রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, বাখমুত ছেড়ে সরে গেছে মূল রুশ সেনারা। বাখমুতে এখন ওয়াগনার বাহিনী অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রিগোজিন জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বাহিনী শহরের একটি প্রান্ত থেকে সরে গেছে। ফলে ওদিকটা অরক্ষিত হয়ে গেছে।’
প্রিগোজিনকে পুটিনের শেফ বলা হয়। কারণ তিনি আগে ক্রেমলিনের ক্যাটারিং কন্ট্রাক্ট পেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধ করার চাইতে চেঁচামিচি বেশি করছে।’ রাশিয়ার সেনা এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছেড়ে কেন পালালো তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রিগোজিন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার কামান্ডাররা বোকার মতো নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের এই ধরনের নির্দেশের জন্যই সেনা পালিয়েছে। বোকার মতো নির্দেশের জন্য সেনা মারা যাবে তা হয় না।’ বাখমুত অধিকারের জন্য ওয়াগনারের ওপরই নির্ভর করছে রাশিয়া। গত কয়েকমাস ধরে লড়াই করেও বাখমুতে ইউক্রেনের সেনাকে পুরোপুরি সরানো যায়নি। কিছুদিন আগে ওয়াগনার বাহিনী জানিয়েছিল, তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ না দিলে তারা বাখমুত ছেড়ে চলে আসবেন। তারপর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়ার কথা জানায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ৯ মে বিজয় দিবসের আগে বাখমুত দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি। এদিকে বাখমুতের কাছেই ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে ছিলেন এএফপির ভিডিও কোঅর্ডিনেটর আরমান সাল্ডিন। ইউক্রেনের সেনার ওপর রকেট হামলা করে রাশিয়ার বাহিনী। তাতেই ৩২ বছর বয়সি ফরাসি নাগরিক সলডিনের মৃত্যু হয়। এএফপি চেয়ারম্যান বলেছেন, তার মৃত্যুতে বিপর্যস্ত বোধ করছেন তিনি।