Home » ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে লিথুয়ানিয়ায় রণসাজ

ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে লিথুয়ানিয়ায় রণসাজ

0 মন্তব্য 95 ভিউজ

রাশিয়ার একেবারে ‘নাকের ডগায়’ শুরু হতে যাচ্ছে ন্যাটোর শীর্ষ বার্ষিক সম্মেলন। রুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ১৯১ কিলোমিটার দূরে রাজধানী ভিলনিয়াসে মঙ্গল ও বুধবার দুদিনের সম্মেলন ঘিরে রণসাজ সেজেছে লিথুয়ানিয়া।
উন্নত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা পুরো ভিলনিয়াস শহরকে রীতিমতো সুরক্ষিত দুর্গে পরিণত করেছে ন্যাটো। শীর্ষ এ সম্মেলনটির নিরাপত্তায় মোট প্রায় এক হাজার সেনা পাঠিয়েছে ন্যাটোর ১৬ দেশ।
পাশাপাশি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও সরবরাহ করেছে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা বলেন,‘বাইডেনসহ অন্য দেশের ৪০ জন নেতা লিথুয়ানিয়ায় আসার কথা রয়েছে। তাই এ সময় আমাদের আকাশকে অরক্ষিত রাখা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মধ্যে পড়ে।’ খবর এপির।
সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জোটের অন্য নেতারা। সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও ব্রিটেন-এই তিন দেশে ৫ দিনের সফরে বেরিয়েছেন তিনি। সোমবার ব্রিটেন থেকেই ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন।
ভিলনিয়াসের এই ন্যাটো সম্মেলনে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল অথবা যুদ্ধবিমানকে আটকাতে সক্ষম ১২টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল লঞ্চার মোতায়েন করেছে জার্মানি।
স্পেন একটি এনএএসএএমএস (নেটওয়ার্কযুক্ত স্বল্প-মাঝারি সীমার স্থলভিত্তিক বায়ু প্রতিরক্ষাব্যবস্থা) বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করেছে। স্বচালিত হাউইটজার পাঠাচ্ছে ফ্রান্স।
বিশেষ অপারেশনের জন্য হেলিকপ্টার বাহিনী পাঠিয়েছে পোলান্ড ও জার্মানি। এছাড়াও রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিওলজিক্যাল এবং নিউক্লিয়ার অ্যাটাক মোকাবিলা করতে সক্ষম সরঞ্জামাদি পাঠাচ্ছে বাকি দেশগুলো।
রোববার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভিলনিয়াস বিমানবন্দরে আটটি জার্মান চালিত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারকে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের তাক করে থাকতে দেখা গেছে। আরও দুটি প্যাট্রিয়ট তাক করা আছে বেলারুশের দিকে। সম্মেলন চলাকালীন স্থানীয়রা বিঘ্ন এড়াতে চাইলে শহরের বাইরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন ভিলনিয়াসের মেয়র। কারণ, মধ্য ভিলনিয়াসের বড় অংশ নিরাপত্তা রক্ষার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া এবং লাটভিয়া-এই তিন বাল্টিক রাষ্ট্রই একসময় রাশিয়ার অংশ ছিল। ২০০৪ সাল থেকে দেশগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেই থেকেই অর্থনীতির শতকরা ২ ভাগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ব্যয় করে দেশগুলো।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.