কৃষ্ণসাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলো অস্ত্র পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে না এমনটা নিশ্চিত করতে রাশিয়া প্রয়োজনে সেগুলো পরিদর্শন করতে চায়।
শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভার্শিনিন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি সম্পর্কে ব্যাখা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, মস্কো কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেন বন্দরে চলাচলকারী সকল জাহাজকে সামরিক মালবাহী জাহাজ হিসেবে বিবেচনা করবে। ‘এক্ষেত্রে যা বুঝানো হচ্ছে তা হলো আমাদের এটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে কোন জাহাজে করে খারাপ কিছু বহন করা হচ্ছে কিনা।’
উপমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘এর মানে এটি সত্য কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনে একটি তদন্ত ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা।’
ভার্শিনিন এই পদ্ধতিটিকে ‘সম্পূর্ণ যৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন। বিশেষকরে বিভিন্ন হামলার ঘটনার পর।
তিনি বলেন, ‘এখন কোন সামুদ্রিক মানবিক করিডোর নেই। সেখানের বিভিন্ন জোনে ইতোমধ্যে সামরিক বিপদ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে রাশিয়া কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেন বন্দর অভিমুখে যাওয়া সকল জাহাজকে সামরিক পণ্যবাহী জাহাজ হিসেবে বিবেচনা করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, যেসব দেশের পতাকার আওতায় এই ধরনের জাহাজ চলাচল করছে সেসব দেশ কিয়েভের পক্ষে ইউক্রেনীয় সংঘাতে জড়িত বলে বিবেচনা করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট