শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির র্যাংকিং মেম্বার এবং কংগ্রেসনাল ব্ল্যাক ককাসের চেয়ারপারসন কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক আচরণে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সব সময় সোচ্চার। কারণ সব দেশের জন্যই মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুসংহত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি। একইভাবে বাংলাদেশকেও সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্র যথাযথ কাজ করলেই মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সহজ হয়, উন্নয়নের অভিযাত্রা ত্বরান্বিত হয়।
কুইন্স থেকে টানা ১৩ বারের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) গ্রেগরি মিক্স ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সমসাময়িক প্রসঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও বলেন, সাফল্যের অনেক গল্প রয়েছে বাংলাদেশের। গত ১৫ বছরে দেশটি নিতান্তই গরিব থেকে মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক পার্টনার। বাংলাদেশে আমরা ইউএসএআইডি অব্যাহত রেখেছি। এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ গ্রোয়িং, গেটিং স্ট্রঙ্গার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই শক্তিশালী ছিল।
কংগ্রেসে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে (২০২২ সাল পর্যন্ত) দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে গ্রেগরি মিক্স উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থায়ী ও টেকসই সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ফলপ্রসূ হচ্ছে না রাশিয়া এবং চীনের কারণে। নিরাপত্তা পরিষদে এ দুটি দেশ ভেটো দিয়ে আসছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে।
বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্যাটাগরিকেলি কমিটমেন্ট রয়েছে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, কিন্তু তার এ পদক্ষেপ ফলপ্রসূ করতে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসম্যান বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের পছন্দের সরকার গঠনের একমাত্র অবলম্বন। তাই সবারই উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করা। সামনের নির্বাচনটি বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যালটযুদ্ধে সব অগণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাস্ত করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করতে হবে।
অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট মোর্শেদ আলম স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের ভাইস চেয়ার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) অন্যতম সদস্য নিজাম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বাংলাদেশি-আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট খোরশেদ খন্দকার প্রমুখ।