একটি নাটকীয় অভ্যুত্থানের পর নিজেকে নাইজারের নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন জেনারেল আবদুরাহমানে তচিয়ানি। ওমর তচিয়ানি নামেও পরিচিত এই জেনারেলের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট গার্ড ইউনিট বুধবার দেশটির নেতাকে আটক করে।
এদিকে নিজের রক্ষীদের হাতে বন্দি প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুম সুস্থ আছেন বলে মনে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৬০ সালে স্বাধীনতার পর নাইজারের প্রথম শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনকে ভেঙে দিয়েছে এই সেনা অভ্যুত্থান।
আফ্রিকান ইউনিয়ন, পশ্চিম আফ্রিকান আঞ্চলিক ব্লক (ইকোওয়াস), ইইউ, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর নেতা অভ্যুত্থানের প্রশংসা করেছেন এবং এটিকে একটি বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে উদ্ধৃত করে ওয়াগনার অধিভুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, ‘নাইজারে যা ঘটেছে তা তাদের উপনিবেশকারীদের সঙ্গে নাইজারের জনগণের সংগ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়।’ তবে তার করা মন্তব্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
জেনারেল তচিয়ানি (৬২) ২০১১ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন এবং ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মহামাদু ইসুফো তাকে জেনারেল পদে উন্নীত করেছিলেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তবে আদালতে হাজির হয়ে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
একটি টেলিভিশন ভাষণে জেনারেল তচিয়ানি বলেছেন, তার জান্তা নাইজারে নিরাপত্তাহীনতা, অর্থনৈতিক দুর্দশা, দুর্নীতিসহ অন্যান্য কয়েকটি সমস্যার কারণে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
নাইজারের অভ্যুত্থান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিম আফ্রিকার অঞ্চলে আঘাত হানা তরঙ্গের সর্বশেষতম। এর আগে মালি, গিনি, বুরকিনা ফাসোতে সরকারের পতন হয়েছে। এখন এই নতুন নেতা কোন দেশের সঙ্গে সারিবদ্ধ হবেন তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নাইজারের প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও মালি তাদের নিজেদের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মস্কোর দিকে ঝুঁকেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট